প্রকাশিত: ২০/১০/২০১৬ ১০:২২ এএম , আপডেট: ২০/১০/২০১৬ ১০:২৬ এএম
মিয়ানমারে সেনা অভিযানের ফাইল ছবি

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দেড় থেকে দুই হাজার আরাকান আর্মি অবস্থান করছে। বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার ৫৫ থেকে ৭৩ সীমান্ত পিলার এলাকায় বিজিবির নিয়মিত টহল না থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে মিয়ানমারের এই বিদ্রোহী সংগঠনের সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদারসহ নানা ধরনের সুপারিশ করে সরকারকে সতর্ক করেছে দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা।
এ বিষয়ে বিজিবির কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে আরাকান আর্মির কোনো তৎপরতা নেই। বরং তাদের দেখা মাত্রই আটক করে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দুর্গম এলাকাগুলোর ৪টি বিওপিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে বিজিবি সদস্যদের পাঠান্ োহয়। সেখানে নিয়মিত পেট্রোল ডিউটি করানো হয়। এরআগেও আরাকান আর্মির সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ বিষয়ে সরকার কঠোর।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার সীমান্ত পিলার ৫৫ থেকে ৭৩ পর্যন্ত সীমান্তের দুপাশেই তাদের চলাচল ও বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে। গত দুই বছর ধরে এ সংগঠন স্বাধীনতার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত। বর্তমানে মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে প্রায় ২২টি বিদ্রোহী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তারা নিজ নিজ প্রদেশের স্বাধীনতা/স্বায়ত্ব শাসনের দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এদের মধ্যে রাখাইন প্রদেশের (সাবেক আরাকান) স্বাধীনতার জন্য শক্তিশালী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি অন্যতম। ২০১০ সালে আরাকান আর্মি মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে প্রতিষ্ঠান হয়। এরপর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলায় জড়ো হতে থাকে। বর্তমান সীমান্তের উভয় পাশেই দেড় থেকে দুই হাজার আরাকান আর্মির সদস্য রয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে আরাকান আর্মি বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে আসছে। বর্তমান আরামাকান আর্মির ১৫ হাজার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যোদ্ধা রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গতবছর এবং চলতি বছরে বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার দুর্গম এলাকায় বিজিবির ৪টি নতুন বিওপি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ওইসব স্থানে হেলি যোগাযোগ ছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। এ সুযোগে আরাকান আর্মির সদস্যরা ওইসব স্থান দিয়ে চলাচল করে থাকে। পাশাপাশি অবস্থানও করে। গতবছর ২৬ আগস্ট আরাকান আর্মির ঘোড়া আটককে কেন্দ্র করে থানচির বড় মদকে বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন এবং হেলিকপ্টার ও যুদ্ধ বিমান নিয়ে টহল দেয়া হয়। পরে বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ অভিযান চালিয়েও কোনো আরাকান সদস্য গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযান শেষে ফেরার সময় সাংগু নদীর থানচির বড় পাথর এলাকায় নৌকা ডুবিতে এক বিজিবি সদস্য নিহত ও তিনটি রাইফেল খোয়া যায়।সুত্র : আমাদেরসময়ডটকম

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...